,

বাঙালির প্রাণের উৎসব আজ

রিপন দেব \ আজ পহেলা বৈশাখ। বাঙালির প্রাণের উৎসবের দিন। সূর্যের নতুন আলোর সঙ্গে এসেছে নতুন বছর, বঙ্গাব্দ ১৪২৪। গতকাল বৃহষ্পতিবার পশ্চিম দিগন্তে ১৪২৩ বঙ্গাব্দের শেষ সূর্য অস্তমিত হয়। নতুন বছর সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে নতুন প্রত্যাশা, নতুন শপথ। আজ ভোরের সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে উঠবে নবীগঞ্জবাসী। ‘এসো হে, বৈশাখ এসো এসো/ তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক’/। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ গানের কথার মতই নতুন বছরের আগমনে ঘুচে যাবে অতীতের দীনতা, জড়তা, মূঢ়তা, ক্লেদ, গ্লানি ও পাপ। আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নবীগঞ্জ শহরের সব বয়সের নাগরিক নতুন পোশাক পরে নতুন বছরকে বরণের জন্য বের হয়ে আসবে রাজপথে। আজ সবার ঠিকানা হয়ে উঠবে নবীগঞ্জ আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হীরা মিয়া গার্লস হাইস্কুল, নবীগঞ্জ জে.কে হাইস্কুল মাঠ, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন এলাকা। বর্ষবরণের এ উৎসব আমেজে আজ মুখরিত থাকবে বাংলার চারদিক। তীব্র গরম উপেক্ষা করে বাঙালি মিলিত হবে তার সর্বজনীন অসা¤প্রদায়িক উৎসবে। পহেলা বৈশাখের দিনে উৎসবের শুরুটা সেই মোঘল সম্রাট আকবরের আমলে। এ দিনে তিনি মিলিত হতেন প্রজাদের সঙ্গে। সবার শুভ কামনা করে চারদিকে বিতরণ করা হত মিষ্টি। এরপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলে বর্ষবরণ উৎসব চলে আসে জমিদার বাড়ির আঙিনায়। খাজনা আদায়ের মত একটি রসহীন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় গান বাজনা, মেলা আর হালখাতার অনুষ্ঠান। আজ আর খাজনা আদায় নেই। তবে ‘হালখাতা’ রয়েছে। দেশের ব্যবসায়ী মহলে ‘হালখাতা’ অনুষ্ঠান মানে নতুন অর্থবছরের হিসাব খোলা। নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে নতুন একটি ‘লাল কভারের’ খাতায় হিসাব খুলে নতুন উদ্যমে শুরু করা হয় ব্যবসা। এদিকে নববর্ষ উদযাপনের জন্য আজ নবীগঞ্জে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিকাল পাঁচটার পরে কোনো উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর